কীভাবে আপনার দক্ষতাকে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এ পরিণত করবেন

Rate this post

আজকের এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। যাকে আমরা সেলফ ব্রান্ডিং বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংও বলে থাকে। যা আপনার কর্ম জীবন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে। চাকরির খবর এর কাগজে আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই তাদের কর্মস্থলে কাজ করার জন্য একজন দক্ষ কর্মচারী প্রয়োজন।

কিন্তু আপনি একজন ফ্রেশার হিসেবে আপনার চাকরির এক্সপেরিয়েন্স থাকবে না সেটাই তো স্বাভাবিক। আপনি যদি আপনার সেলফ ব্রান্ডিং অর্থাৎ ব্যত্তিগত ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পারেন তাহলে চাকরির নিয়োগ কর্তাদের কাছে আপনি সকল চাকরি প্রার্থীদের থেকে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার সম্ভব না অনেকাংশে বেড়ে যায়।

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কি এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনি কিভাবে নিজের একটি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পারেন সে সম্পর্কে কমপ্লিট ধারণা পেতে যাচ্ছেন।

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কি?

সহজ ভাবে বলতে গেলে Personal Branding হলো আপনার একটি নির্দিষ্ট দক্ষতার সমষ্টি। অর্থাৎ আপনি এমন কিছুতে দক্ষ যা সকল মানুষের সামনে উপস্থাপন করার মাধ্যমে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করে নেওয়ার নামেই হলো পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং।

যেমন ধরুন আপনি কম্পিউটারে একজন পারদর্শী লোক বা দক্ষ ব্যক্তি। অফিশিয়াল কাজগুলো কিভাবে করতে হয় এবং কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে একটি ভালো আউটপুট নিয়ে আসতে হয় এই সম্পর্কিত প্রতিনিয়ত সকলের সাথে টিপস এবং ট্রিকস শেয়ার করার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং তৈরি করা।

যেমন ধরুন আপনি মার্কেটিং এ অনেক ভালো। কিভাবে একটি প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করার মাধ্যমে সেলস বৃদ্ধি করতে হয়ে এবং কিভাবে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে হয় সে সম্পর্কিত টিপস এবং ট্রিকস প্রতিনিয়ত সবার সঙ্গে শেয়ার করার মাধ্যমে নিজের একটি Personal Branding তৈরি করতে পারেন।

মূলত পার্সোনাল বার্ডিং হলো নিজের দক্ষতাকে সবার সামনে উপস্থাপন করার মাধ্যমে নিজের অবস্থানকে তৈরি করাকেই সেলফ ব্রান্ডিং বলে।

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর উপকারিতা

প্রথম অবস্থায় হয়তো আপনি পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং এর উপকারিতা দেখতে পাবেন না। যখন আপনি আপনার দক্ষতা গুলো সবার সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে নিজের পজিশন তৈরি করে নিতে পারবেন আর ঠিক তখনই আপনি এর ফলাফল নিজে উপলব্ধি করতে পারবেন এবং এর দ্বারা আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।

যেমন আয়মন সাদিক নাম বললেই আমরা বুঝে যাই ওহ! এতো টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও সোলায়মান সখুন এর কথা বললেই আপনি ধরে নেন ওহ! এতো একজন মোটিভেশনাল স্পিকার। মূলত সে কিন্তু কোন একটা কর্পোরেট কোম্পানিতে জব করে। Personal Branding এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।

কিভাবে নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করবেন?

নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করার জন্য দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, একটি হলো ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে, দ্বিতীয়টি হলো ওয়েবসাইটে লেখালেখি করার মাধ্যমে। এই দুইটি পদ্ধতি সব থেকে বেশি কার্যকর।

আপনি যে বিষয়ের উপর অনেক স্কিল্ড সে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিও গুলো আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করে নিজের Self Branding তৈরি করে নিতে পারেন।

ডোমেইন হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার দক্ষতা গুলো লেখালেখি করার মাধ্যমে নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পারেন।

উপসংহার

সংক্ষিপ্ত পরিসরে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এর দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন এবংতাদেরকেও পার্সোনাল ব্রান্ডিং তৈরি করাতে উৎসাহ দিবেন।

কমেন্ট করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top